Posts

মোকামে ফানা-ফি-শাইখ

"আমার মরণকালে ....." ওরে কমবখত মূর্খ মোল্লা, হজরত মূসা (আঃ) মারেফাত ও নবুয়তে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও হজরত খিজিরের (আঃ) কাজের ভেদ বুঝিয়া উঠিতে পারেন নাই। তুমি কিভাবে বুঝবা? মোকামে ফানা-ফি-শাইখ: "পীরে তাস্ত আউয়াল মাবুদ তাস্ত" অর্থাৎ, মুরিদের জন্য তার পীর হচ্ছে প্রথম মাবুদ৷  ~ হজরত শের হিন্দ মুজাদ্দেদে আলফে সানী (রঃ) "আউলিয়া আল্লাহ অ আল্লাহ আউলিয়া ইয়ানী দীদ-এ-পীর দীদ-এ-কিবরিয়া" হার কা পীর অ জাত হাকরা আইক না দীদ নাই মুরীদ অ নাই মুরীদ অ নাই মুরীদ"  অর্থাৎ, আল্লাহর আউলিয়ারা আল্লাহর মত কারণ আল্লাহ তাদের বন্ধু আর এইভাবে যারা তার নিজ পীরকে দেখল তারা আল্লাহকেই দেখল৷  যে তার পীর কে আল্লাহ হিসেবে দেখেনি, সে সত্যিকারের মুরিদ নয়৷ ~ মাওলানা জালালউদ্দীন রুমী (র:) বান্দা যখন ফানাফিল্লাহ মোকামে উপনীত হয়ে স্রষ্টার মধ্যে বিলীন হয়ে যায় তখন তারা আল্লাহ ময় হয়ে যান। যেমন আল্লাহ বলেন "আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে। আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে।[বোখারী -

আল্লাহর ওলীদের জিকির আল্লাহর জিকির হিসাবে পরিগনিত হয়

"নিশ্চয়ই আঁমার এমন মাহবুব ও আউলিয়ায়ে কিরাম আছেন যাদের জিকির আঁমার জিকির, আর আঁমার জিকির তাদের জিকির হিসেবে পরিগনিত হয়।" ~ তাবরানী-মুজামুল আওসাত, হাদিস - ৬৫১, ~ মাসনাদু আহমদ বিন হাম্বল, হাদিস - ১৫৬৩৪, ~ ইবনে হাজার আল হাইতমি, মাজাউজ জাউয়াইদ, হাদীস - ৩০৪

নবীগণ জিন্দা এবং তারা দুনিয়াতে আসার আগে থেকেই তারা তাদের কাজে নিয়োজিত এবং দুনিয়া থেকে জাহেরী পর্দা টানার পরেও

"আর আল্লাহ যখন নবীগনের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহন করলেন যে, আমি যা কিছু তোমাদের দান করেছি কিতাব ও জ্ঞান এবং অতঃপর তোমাদের নিকট কোন রসূল আসেন তোমাদের কিতাবকে সত্য বলে দেয়ার জন্য, তখন সে রসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তার সাহায্য করবে। তিনি বললেন, ‘তোমারা কি অঙ্গীকার করছো এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছ? তারা বললো, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছি’। তিনি বললেন, তাহলে এবার সাক্ষী থাক। আর আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম।" সূরা আল ইমরান - ৮১ 

আউলিয়ারা জীবিত তারা মৃত নন, তারা আল্লাহর ক্ষমতায় ক্ষমতাবান

কোরান শরিফ থেকে: أَلا إِنَّ أَوْلِيَاء اللّهِ لاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ মনে রেখো যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে। ~সূরা ইউনূস : ৬২ وَلاَ تَقُولُواْ لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبيلِ اللّهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاء وَلَكِن لاَّ تَشْعُرُونَ আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না। ~সূরা বাক্বারা: ১৫৪ وَالَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ أُوْلَئِكَ هُمُ الصِّدِّيقُونَ وَالشُّهَدَاء عِندَ رَبِّهِمْ لَهُمْ أَجْرُهُمْ وَنُورُهُمْ وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُوْلَئِكَ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে তারাই তাদের পালনকর্তার কাছে সিদ্দীক ও শহীদ বলে বিবেচিত। তাদের জন্যে রয়েছে পুরস্কার ও জ্যোতি এবং যারা কাফের ও আমার নিদর্শন অস্বীকারকারী তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে।  ~সূরা আল  হাদীদ : ১৯ আউলিয়াদের ক্ষমতা: قَالَ يَا أَيُّهَا المَلَأُ أَيُّكُمْ يَأْتِينِي بِعَرْشِهَا قَبْلَ أَن يَأْت

আল্লাহর ওলীগণ জাহান্নামীদের জাহান্নাম থেকে বেরকরে জান্নাতে নিয়ে যাবেনঃ

হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (দঃ) ইরশাদ করেন, "তারা (আল্লাহর অলীগণ) যখন দেখবে তারা নিরাপদ, তখন (তাদের সঙ্গীদের জন্যে) তারা আল্লাহর কাছে আবেদন করবে “হে আমার প্রতিপালক এরা আমাদের ভাই, যাদেরকে তুমি জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছ তারা আমাদের সাথে নামাজ পড়ত, আমাদের সাথে রোজা রাখত এবং আমাদের সাথে সত্কাজ করত।" তখন আল্লাহ বলবেন “যাদের অন্তরে শুধুমাত্র এক দিনার ওজন পরিমাণ ঈমান পাবে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আস। তাদের মুখমন্ডল তথা আকৃতিকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দেওয়া হয়েছে।” অতঃপর তারা (অলীগণ) সেখানে জাহান্নামীদের নিকট যাবেন। এসে দেখবেন কেউ কেউ পা পর্যন্ত কেউ পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত আগুনে ডুবে আছে। এর মধ্যে যাদের তারা চিনবে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আসবে।" ~ সহীহ বুখারী - ৭০০১/৭৪৩৯

আল্লাহর ওলীগণের শরীরকে আল্লাহ আল্লাহর কুদরতি শরীর বানিয়েদেন

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "আল্লাহ্ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোন ওলীর সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব। আমি যা কিছু আমার বান্দার উপর ফরয করেছি, তা দ্বারাই কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ‘ইবাদাত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমন কি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নেই যে, আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে। আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কোন কিছু চায়, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি কোন কাজ করতে চাইলে তা করতে কোন দ্বিধা করি-না, যতটা দ্বিধা করি মু’মিন বান্দার প্রাণ নিতে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি। [*]" [*] বান্দা মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর ওদিকে আল্লাহ বলেন ওহে প্রশান্তিময় আত্মা! চলে এসো তোমার প্রতিপালকের কাছে সন্তুষ্টি সহকারে এবং সন্তোষের পাত্র হয়ে

আমরা কাদের অনুসরণ করবো, কোরান কি বলে?

ইসলাম বুঝার বিষয়, মুখস্তের বিষয় নয়। আল্লাহ কোরনের মাধ্যমে তার কিছু মনোনীত ব্যক্তি ও কিছু অবাধ্য ব্যক্তিদের জীবন যাপন ও কর্ম পদ্ধতি বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা কাদের অনুসরণ করবো বা করবোনা তা বলেদিয়েছেন। আল্লাহ শুধু একজন ব্যক্তিকে মনোনীত করে পাঠাননি বরং তিনি যুগে যুগে অসংখ্য তার প্রিয়ভাজনকে মনোনীত করে পাঠিয়েছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত পাঠাবেন। আমাদের বর্তমান প্রজন্ম ইসলাম সম্পর্কে খুব কমই ধারণা রাখি। আমরা বিভিন্ন কথার বেপারীদের থেকে ইসলাম বুঝতে চাই। ইসলাম শুধু শুনার বিষয় নয়, বরং চর্চার বিষয়। অন্তর পবিত্র করার মাধ্যমে তা ধারণ করার বিষয়। দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের প্রজন্ম ইসলাম চর্চার একমাত্র উদ্দেশ্য বেহেস্ত বা দোজখ কে বেছে নিয়েছে। ধর্মতো এসেছে মানুষ কে মানুষ বানানোর জন্যে। বেহেস্ত বা দোজখতো যার যার কর্মের ফল মাত্র। আজ দেশে দেশে মাদ্রাসা মসজিদের অভাব নাই, এতো এতো মুসল্লী, কিন্তু সৎ লোকের খুবই অভাব। আজ মৌ-লোভীরা স্পষ্ট হারাম হবার পরেও ধর্মকে জীবিকা বানিয়ে নিয়েছে। এসব হারাম উপার্জনকারীরা কিভাবে মানুষকে হালাল পথের সন্ধান দিতে পারে, যেখানে তারা নিজেরাই অসৎ উপার্জনে লিপ্ত? আমরাকি এসব